লেখক-পাঠক, কবি-ছড়াকার, শিল্পী-সাহিত্যিকসহ সৃজনশীল মানুষের পদচারণায় মুখর চট্টগ্রাম একাডেমির ফয়েজ নুরনাহার মিলনায়তন। একপাশে টেবিলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মূল্যবান সব বই, মননশীল বই, পত্র-পত্রিকার স্টল।
৩০ শতাংশ ছাড়ে বিক্রি হচ্ছে সব। মূল মঞ্চে চলছে আলোচনা, ছড়া-কবিতা পাঠ, আবৃত্তি, গান ইত্যাদি।
তিন দিনব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের বিজয় বই উৎসবের প্রথম দিন বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলের চিত্রটা ছিল এমনই। এ বইমেলা উদ্বোধন করেন অর্থনীতিবিদ ড. মইনুল ইসলাম।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ বাঙালি জাতির অহংকার। গৌরবের এ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে সঠিক ইতিহাস প্রজন্মান্তরে ছড়িয়ে দিতে হবে।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে কোনো আপস করা যাবে না।
শৈলী প্রকাশনের উদ্যোগে আয়োজিত বইমেলার উদ্বোধন পর্বে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষাবিদ-প্রাবন্ধিক ড. আনোয়ারা আলম। আলোচনায় অংশ নেন ড. উজ্জ্বল কুমার দেব, ড. নারায়ণ বৈদ্য, ড. আহমেদ মাওলা, ড. মো. মোরশেদুল আলম, ড. শ্যামল কান্তি দত্ত। স্বাগত বক্তব্য দেন কথাসাহিত্যিক দীপক বড়ুয়া। সঞ্চালনা করেন বাচিকশিল্পী আয়েশা হক শিমু। বই উৎসবে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে শ্রদ্ধা জানানো হয় দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই ‘তখন সত্যি মানুষ ছিলাম’ বৃন্দ আবৃত্তি পরিবেশন করেন উঠোন সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের শিল্পীরা।
দ্বিতীয় পর্বে কবি সাথী দাশের সভাপতিত্বে ছড়া ও কবিতা পাঠে অংশ নেন আখতারুল ইসলাম, আবদুল্লাহ ফারুক রবি, কাসেম আলী রানা, নিশাত হাসিনা শিরিন, বিচিত্রা সেন, মাহবুবা চৌধুরী, রুনা তাসমিনা, শামীম ফাতেমা মুন্নী, শিরিন আফরোজ, সৈয়দ খালেদুল আনোয়ার, সৈয়দা সেলিমা আক্তার, হেলাল চৌধুরী। উৎসবে গান পরিবেশন করেন শিউলী নাথ।
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় থাকছে ছড়া ও কবিতা পাঠ। সভাপতিত্ব করবেন মৃণালিনী চক্রবর্তী। সন্ধ্যা ৬টায় প্রাবন্ধিক আমিনুর রশীদ কাদেরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হবে আলোচনা সভা। আলোচক থাকবেন কবি ওমর কায়সার, বিকাশ চৌধুরী বড়ুয়া, এম নাসিরুল হক, জিনাত আজম, জাহাঙ্গীর মিঞা, ববি বড়ুয়া, মুহাম্মদ মুসা খান, খনরঞ্জন রায়, শাকিল আহমদ, মুহম্মদ মহসীন চৌধুরী।
কোন মন্তব্য নেই
মন্তব্য করুন Cancel