1. সাহিত্য

প্রাচীন আরবের সাংস্কৃতিক অবস্থা

জাহিলি যুগে আরবের অধিকাংশ লোক নিরক্ষর ও অশিক্ষিত থাকলেও সাহিত্যের প্রতি তাদের খুব অনুরোধ ছিল। তাদের অনেকেই মুখে মুখে গীতিকবিতা চর্চা করতো। তৎকালীন আরবে উকায মেলা নামে বাৎসরিক একটি মেলা বসত। মেলায় তৎকালীন সময়ের প্রসিদ্ধ কবিগণ তাদের স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করতো। যেসব কবিতা সেরা বিবেচিত হতো তা সোনালি বর্ণে লিখে পবিত্র কাবার দেয়ালে ঝুলিয়ে দেওয়া হতো। 

আরবি সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ সম্পদ ‘আস-সাবউল মুআল্লাকাত’ (সাতটি ঝুলন্ত গীতিকবিতা) জাহিলি যুগেই রচিত। কবিতা রচনার কারণে আরবরা জাহেলী যুগেই বিশ্বে খ্যাতি অর্জন করেছিল। তাদের কবিতা মানের দিক থেকে ছিল খুব উন্নত। হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, “যখন তোমরা আল্লাহর কিতাবের কোনো কিছু বুজতে না পার তবে তার অর্থ আরবদের কবিতায় তালাশ কর। কারণ কবিতা তাদের জীবনলেখ্য।” (আল-মুফাচ্ছাল)

এতে বোঝা যায় প্রাচীন আরবের সাংস্কৃতিক জীবনে অসংখ্য প্রবাদ-প্রবচন, না কিংবদন্তি ও মুখরোচক কাহিনী এবং বাগ্মিতার প্রচলন ছিল, তবে তাদের সংস্কৃতি চর্চার প্রধান মাধ্যম ছিল কবিতা।
Do you like আখিরুল ইল্লিন's articles? Follow on social!
কোন মন্তব্য নেই
মন্তব্য করুন Cancel
Comments to: প্রাচীন আরবের সাংস্কৃতিক অবস্থা

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Attach images - Only PNG, JPG, JPEG and GIF are supported.